বিশ্বের প্রথম ‘কৃত্রিম মানব’ তৈরি করল স্যামসাং!

টারমিনেটর, রবোকপ কিংবা হলিউডের কোন সিনেমায় দেখেছেন যন্ত্র মানব বা কৃত্রিম মানব। ভেবেছেন এটা কেবল সিনেমাতেই সম্ভব। সে ধারনা ভুল প্রমান করতে বিশ্বের প্রথম ‘কৃত্রিম মানব’ বানালো বিশ্বের অন্যতম প্রযুক্তি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

লাস ভেগাসে কনজিউমার ইলেট্রনিক্স শো’তে (সিইএস) মঙ্গলবার রাতে আত্মপ্রকাশ করল, স্যামসাং এর তৈরি বিশ্বের প্রথম কৃত্রিম মানব ‘নিওন’।  যে তার সঙ্গীর দুঃখে সান্ত্বনা দেবে প্রিয় বন্ধুর মতোই। সঙ্গীর আনন্দে পরিবারের সদস্যদের মতোই অনুভূতি প্রকাশ করতে পারবে একেবারে মানুষের গলায়। নিওন কথা বলতে পারবে বিশ্বের প্রথম সারির একাধিক ভাষায়।

অ্যালেক্সা, বিক্সবি বা সিরি’র মতো ডিজিটাল অ্যাসিস্ট্যান্ট বা যন্ত্রমানবের সঙ্গে কথা বলার অনুভূতি হবে না মোটেই। আর এজন্যই নিওনকে ‘যন্ত্রমানব’ না বলে ‘কৃত্রিম মানব’ বলছে স্যামসাং কর্তৃপক্ষ।

সংস্থাটির দাবি, ‘নিউ হিউম্যান’ থেকে আসা শব্দ ‘নিয়ন’ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স এবং মেশিন লার্নিংয়ের বলে বলীয়ান এমন এক হিউম্যানয়েড (মানুষের যান্ত্রিক প্রতিরূপ) অবতার, যে তার সঙ্গীর সাথে ভাবের আদানপ্রদান করতে পারবে একেবারে মানুষের মতোই নূন্যতম সময়ের প্রতিবর্ত ক্রিয়ায়।

নিওনকে নিয়ে কাজ চলছে স্যামসাংয়ের স্টার ল্যাবরেটরিতে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, কনজিউমার ইলেট্রনিক্স শো’তে যা হয়েছে তা কম্পিউটারে তৈরি করা প্রজ্ঞা ও অনুভূতির মিশেলে এক কৃত্রিম মানব, যাকে কর্তৃপক্ষ যে কোনো কাজ করানোর জন্য প্রোগ্রামিং করেছেন।

‘রিয়েলিটি, রিয়েল টাইম রেসপনসিভনেস’, থ্রি-আর মিশ্রণে আগামী দিনে যখন এই কৃত্রিম মানব বাণিজ্যিকভাবে বাজারে আসবে, তখন তাকে আরও গ্রাহকবান্ধব, মানবিক এবং চিন্তাশীল করে তোলার পাইলট প্রকল্প ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছে স্যামসাং।

চলতি বছরের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিতব্য ‘নিওনওয়ার্ল্ড ২০২০’ প্রদর্শনীতে দেখানো হবে নিওনের মূল চালিকাশক্তি স্পেকট্রা প্রযুক্তির খুঁটিনাটি। তখন দেখা যাবে নিওনের আরও উন্নত সংস্করণ।

তবে কবে নাগাদ নিয়নকে বাজার ছাড়া হবে, সে বিষয়ে কিছু জানানো হয় নি স্যামসাং এর পক্ষ থেকে।

Leave a Reply

Translate »