ঢাকায় অঞ্জন দত্ত

আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছিলেন  ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চলচ্চিত্র পরিচালক, অভিনেতা ও গায়ক অঞ্জন দত্ত। তাঁর পরিচালনা করা সিনেমা ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ আজ দেখানো হবে সেখানে। বেলা সাড়ে তিনটায় প্রদর্শনীর আগে ও পরে মঞ্চে উঠে দর্শকদের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি।

গত রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের আয়োজনে টিএসসি মিলনায়তনে শুরু হয়েছে ১৯তম ‘আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব-১৪২৬’। পাঁচ দিনের এ উৎসবে দেখানো হচ্ছে দুই বাংলার সমসাময়িক ও ধ্রুপদি ১৯টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ৩টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

২০১৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি ভারতের পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পায় অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ ছবিটি। পরিচালনার পাশাপাশি ভিন্ন তিনটি ভালোবাসার গল্পে ছবির চিত্রনাট্য করেছেন অঞ্জন নিজেই। এ ছাড়া অভিনয় করেছেন গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রাইমা সেন, অর্জুন চক্রবর্তী, সৌরসেনী মৈত্রা প্রমুখ। ছবিতে আহিরিটোলার অবসরপ্রাপ্ত এক বয়স্ক পুরুষের সঙ্গে দেখা হয় পার্ক স্ট্রিটের যুবতী আহিরির। তাঁর প্রেমিক চাকরি করেন দার্জিলিংয়ে। আর এই তরুণীকে নিয়ে পাহাড়ে চলে যান বয়স্ক মানুষটি। এখানে নানা দিক থেকে প্রেমকে দেখানোর চেষ্টা করেছেন অঞ্জন দত্ত। কখনও সেটা অবদমন, কখনো ইতিবাচকতা আবার কখনো সেটা সমপ্রেম। আমার ভাষার চলচ্চিত্র উৎসব-১৪২৬–এর আগে ঢাকায় ‘ফাইনালি ভালোবাসা’ দেখানো হয় অষ্টাদশ ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে।

গতকাল উৎসব প্রাঙ্গণে উপস্থিত হয়েছিলেন ‘ন ডরাই’ সিনেমার কলাকুশলী এবং ‘সত্তা’ সিনেমার পরিচালক হাসিবুর রেজা। প্রদর্শনীর ফাঁকে দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে অংশ নেন তাঁরা। সংসদের কার্যকরী সদস্য রিফাত শাহরিয়ার জানান, স্টার সিনেপ্লেক্সের পক্ষ থেকে এ দিন একটি র‍্যাফল ড্র অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সিনেপ্লেক্সের ১০টি টিকিট জিতে নেন উপস্থিত দর্শকেরা।

উৎসবে আজ বুধবার সকাল ১০টায় দেখা যাবে ঋতুপর্ণ ঘোষ পরিচালিত ছবি ‘দোসর’, বেলা ১টায় মৃণাল সেনের ‘খারিজ’, সাড়ে ৩টায় অঞ্জন দত্তের ‘ফাইনালি ভালোবাসা’, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নাসির উদ্দীন ইউসুফের ‘আলফা’।

শেষ দিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দেখানো হবে আজিজুর রহমান পরিচালিত ছবি ‘অশিক্ষিত’, বেলা ১টায় শহীদুল ইসলামের ‘বাংলা’, সাড়ে ৩টায় মালেক আফসারীর ‘এই ঘর এই সংসার’ এবং সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নিয়ামুল হাসানের ‘কাঠবিড়ালী’। এ দিন গত বছরের সেরা চলচ্চিত্রকে দেওয়া হবে ‘হীরালাল সেন পদক’। সুত্র ঃ প্রথম আলো

Leave a Reply

Translate »